ads

ads

পুলিশ হতে কি যোগ্যতা লাগে বিস্তারিত জেনে নিন

পুলিশ হতে কি যোগ্যতা লাগে সেই বিষয় নিয়ে আজকে আর্টিকেলে আলোচনা করব। যেহেতু আপনি পুলিশ হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং মাঠে দাঁড়াতে চাচ্ছেন। এজন্য আপনাকে জানতে হবে কি কি লাগবে এবং নিজে কেমন ফিট থাকতে হবে।

পুলিশ-হতে-কি-যোগ্যতা-লাগে

এই সমস্ত ব্যাপারে এই আর্টিকেলে আলোচনা করব।তাছাড়া কতটুক শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন। পুলিশ হতে কি যোগ্যতা লাগে সেই বিষয়ে সম্পূর্ণ বিস্তারিত জানতে পুরো আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ পুলিশ হতে কি যোগ্যতা লাগে বিস্তারিত জানুন

পুলিশ হতে কি যোগ্যতা লাগে

পুলিশ হতে কি যোগ্যতা লাগে আসলে অনেকেই জানে আবার অনেকে জানে না।বিশেষ করে যারা নতুন পুলিশে চাকরি নেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে তাদের এই বিষয়টি জানা অত্যন্ত কর্তব্য। কারণ বর্তমানে পুলিশ সম্মানজনক পেশা যেখানে শিক্ষাগত যোগ্যতা মানসিকতা খুব গুরুত্বপূর্ণ।তাই আমি পুলিশের মাঠে দাঁড়ানোর আগে বা দাঁড়ানোর পরে যে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করছি। বাংলাদেশের পুলিশ সদস্যরা শুধু নিজেদের সুবিধার্থে চাকরি করে না,তারা বরঞ্চ দেশের সাধারন মানুষদের নিরাপত্তা দেয়।

কঠোর পরিশ্রম করতে হয় দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য। পুলিশ সদস্যদের শারীরিক ভাবে শক্তিশালী মানসিকতা ভাবে অনেক সচেতন হতে হয়। শুধু যে দায়িত্ব পালন করলেই হবে না তাদের দেশপ্রেমের সঠিক মর্যাদা দিতে এবং সেবা করতে হবে। পুলিশের চাকরি পেতে হলে প্রথমে বাছাইপর্ব জন্য পরীক্ষা নেওয়া হয় সেই পরীক্ষায় যদি উত্তীর্ণ হতে হয়। এই বাছাইপর্বে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নেওয়া হয় যেমন শারীরিক যোগ্যতা লিখিত পরীক্ষা মৌখিক পরীক্ষা তা ছাড়া ফিজিক্যাল টেস্ট। শারীরিক যোগ্যতা বলতে উচ্চতা, ওজন, বুকের মাপ ইত্যাদি পূরণ করতে হয়। 

ফিজিক্যাল টেস্টে দৌড়, লাফ, দড়ি চড়া, ফিটনেস পরীক্ষা ইত্যাদি থাকে। যারা নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করে, তাদের জন্য এগুলো পার হওয়া সহজ হয়।লিখিত পরীক্ষায় সাধারণ জ্ঞান, বাংলা, ইংরেজি, গণিত ইত্যাদি বিষয় থাকে। এই পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে হলে নিয়মিত পড়াশোনা ও জ্ঞান অর্জন করতে হয়। এরপর মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থীর আচরণ, বুদ্ধিমত্তা ও যোগাযোগ দক্ষতা যাচাই করা হয়।পুলিশ হওয়ার জন্য শুধু শিক্ষাগত যোগ্যতা নয়, মানসিক দৃঢ়তা ও শারীরিক সক্ষমতা অনেক বেশি জরুরি। কারণ অনেক সময় ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতেও পুলিশ সদস্যদের কাজ করতে হয়।

শুধুমাত্র পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া নয়, এরপরেও নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে হয়। এটি পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে এবং পেশাগত মনোভাব তৈরিতে সাহায্য করে।পুলিশে যোগ দিতে ইচ্ছুকদের উচিত সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতি নেওয়া। নিয়মিত শরীরচর্চা করা, সাধারণ জ্ঞান ও প্রয়োজনীয় বিষয়ে নিয়মিত পড়াশোনা করা উচিত।দেশের সেবায় নিয়োজিত হতে হলে আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য্য খুব দরকার। পুলিশ একটি সম্মানজনক পেশা যেখানে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে জাতির সেবা করা হয়।

তাই যারা পুলিশে আসতে চান, তাদের উচিত নিজের যোগ্যতা যাচাই করা এবং পরিকল্পিতভাবে প্রস্তুতি শুরু করা। বাছাই পর্বের প্রতিটি ধাপে সফল হতে হলে ধৈর্য্য ও পরিশ্রম অপরিহার্য।পুলিশের চাকরি পেলে আপনি শুধু চাকরিপ্রার্থী নন, দেশের একজন সেবক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবেন। তাই আপনার মনোভাবও সেই অনুযায়ী থাকা উচিত।
পুলিশ-হতে-কি-যোগ্যতা-লাগে
এটি একটি মহান পেশা, যেখানে আপনাকে সব সময় সতর্ক, সৎ ও পরিশ্রমী হতে হয়। পুলিশের মাঠে দাঁড়ানোর আগে যেমন ভালো প্রস্তুতি দরকার।দাঁড়ানোর পরেও নিজের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য পরিশ্রম চালিয়ে যেতে হবে। এতে আপনি একজন আদর্শ পুলিশ অফিসার হয়ে উঠতে পারবেন।

পুলিশের চাকরির জন্য ছেলেদের ওজন কত লাগে

পুলিশের চাকরির জন্য ছেলেদের ওজন কত লাগে এই নিয়ে আলোচনা করছি। ব্রথমান পুলিশের চাকরিতে আবেদন করার জন্য শারীরিক যোগ্যতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। এর মধ্যে উচ্চতা, বুকের মাপ ও ওজন। ছেলেদের ওজনের মান উচ্চতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল পদে ছেলেদের ন্যূনতম উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি (১৬৭ সেমি) হতে হয়।

এই উচ্চতার সাথে ওজন কমপক্ষে ৫৫ কেজি বা কাছাকাছি থাকতে হবে।ওজন নির্ধারণে BMI (Body Mass Index) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সাধারণত BMI ১৮.৫-২৪.৯ এর মধ্যে থাকলে তা স্বাভাবিক ধরা হয়। এর নিচে থাকলে ওজন কম এবং এর ওপরে থাকলে অতিরিক্ত ওজন ধরা হবে।

পুলিশের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উচ্চতা অনুযায়ী ওজনের চার্ট দেওয়া থাকে। যেমন;
  • ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি (১৬৭ সেমি) — ন্যূনতম ওজন প্রায় ৫৫ কেজি
  • ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি (১৭০ সেমি) — ন্যূনতম ওজন প্রায় ৫৭ কেজি
  • ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি (১৭৩ সেমি) — ন্যূনতম ওজন প্রায় ৫৮-৫৯ কেজি
  • ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি (১৭৬ সেমি) — ন্যূনতম ওজন প্রায় ৬০-৬১ কেজি
শারীরিক পরীক্ষার সময় ওজন হালকা পোশাকে পরিমাপ  করা হয়। যাতে ফলাফল সঠিক পাওয়া যায়। কম বা বেশি ওজন থাকলে  প্রাথমিক পর্যায়েই বাদ পড়তে পারেন।যদি আপনার ওজন কম থাকে তাহলে স্বাস্থ্যকর খাবার এবং পর্যাপ্ত ঘুম। তাছাড়া নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন বাড়ানো উচিত। আবার যদি ওজন বেশি হয় তাহলে সুষম খাদ্য, দৌড়ানো, সাঁতার ও ব্যায়ামের মাধ্যমে তা কমিয়ে নেওয়া চেষটা।পুলিশের চাকরিতে যোগ দিতে হলে শুধু যে সটীক ওজন লাগে তা কিন্তু নয়।বরং সার্বিক ফিটনেসও গুরুত্বপূর্ণ। তাই আবেদন করার আগে নিজের উচ্চতা ও ওজন চার্টের সাথে মিলিয়ে দেখা উচিত।

পুলিশ হতে মেয়েদের কি যোগ্যতা লাগে

পুলিশ হতে মেয়েদের কি যোগ্যতা লাগে এই ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করছি। বর্তমানে মেয়েদের জন্য পুলিশের চাকরি সম্মানজনক এবং নিরাপদ পেশা। মেয়েরা এখন কনস্টেবল থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ অফিসার পর্যন্ত সব পদে কাজ  করতে পারছে এবং করছে। তবে এই চাকরিতে যোগ হতে হলে কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন। যেমনঃ-

১. নাগরিকত্ব

  • প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে এবং জাতীয় পরিচয়পত্র থাকতে হবে।

২. বয়স

  • সাধারণত কনস্টেবল পদে মেয়েদের বয়সসীমা  ১৮ থেকে ২০ বছর এবং অন্যান্য পদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা কিছুটা ভিন্ন হতে পারে।

৩. শিক্ষাগত যোগ্যতা

  • কনস্টেবল পদে ন্যূনতম এসএসসি বা সমমান পাস হতে হবে।
  • সাব-ইন্সপেক্টর বা অফিসার পদে যোগ দিতে হলে ন্যূনতম স্নাতক (গ্রাজুয়েশন) ডিগ্রি থাকতে হবে।

৪. শারীরিক যোগ্যতা

  • উচ্চতা: ন্যূনতম ৫ ফুট ২ ইঞ্চি (১৫৭ সেমি)
  • ওজন: উচ্চতা অনুযায়ী (BMI অনুযায়ী স্বাভাবিক হতে হবে)
  • বুকের মাপ: সাধারণত মেয়েদের জন্য নির্দিষ্ট কোনো বুকের মাপের শর্ত থাকে না। তবে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ফিট থাকলে হবে।

 ৫. শারীরিক সক্ষমতা (Physical Test)


মেয়েদের ফিজিক্যাল টেস্টে সাধারণত থাকে—
  • ৮০০ মিটার দৌড়
  •  লাফ
  • ফিটনেস পরীক্ষা

৬. লিখিত পরীক্ষা

  • বাংলা, ইংরেজি, গণিত এবং সাধারণ জ্ঞান থেকে প্রশ্ন দেওয়া হয়। ভালো প্রস্তুতি ও নিয়মিত পড়াশোনার মাধ্যমে এই ধাপ পার করা সম্ভব।

৭. মৌখিক পরীক্ষা (Viva)

  • এই পরীক্ষায় প্রার্থীর আত্মবিশ্বাস, আচরণ, যোগাযোগ দক্ষতা ও বুদ্ধিমত্তা যাচাই করা হয়।

 ৮. মানসিক দৃঢ়তা ও চরিত্র

  • পুলিশ পেশায় ঝুঁকি থাকে, তাই মানসিকভাবে দৃঢ় এবং সততার সাথে দায়িত্ব পালনের মানসিকতা থাকতে হবে। এছাড়া চরিত্র সনদ প্রয়োজন হয়।

৯. প্রশিক্ষণ

  • চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর নির্দিষ্ট সময় মেয়েদের প্রশিক্ষণ নিতে হয়। এখানে শারীরিক, মানসিক ও পেশাগত দক্ষতা বাড়ানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

পুলিশে নিয়োগ পেতে চূড়ান্ত পয়েন্ট বা উত্তীর্ণ নম্বর কত হতে হবে

পুলিশে নিয়োগ পেতে চূড়ান্ত পয়েন্ট বা উত্তীর্ণ নম্বর কত হতে হবে। এই বিষয় প্রতি অনেকেরই ধারণা নাই। আবার অনেকের ধারণা আছে। বিশেষ করে পুলিশের চাকরি পাওয়ার জন্য যে পরীক্ষা গুলো নেয়া হয়। সেই পরীক্ষায় সঠিক নাম্বার যদি না পেয়ে থাকেন তাহলে কখনোই চাকরিতে জয়েন করতে পারবেন না।চাকরি নেয়ার জন্য আগে থাকতে প্রস্তুতি নিতে হবে। এবং জানতে হবে পরীক্ষায় কত নাম্বার প্রয়োজন। এজন্যই আমি আপনাকে সঠিক নাম্বার বিষয়ে আলোচনা করলাম।
পুলিশ-হতে-কি-যোগ্যতা-লাগে
এ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমেই আপনি পুলিশ হতে যে যোগ্যতা প্রয়োজন সম্পূর্ণ জানতে পারবেন।বাংলাদেশ পুলিশের নিয়োগে সাধারণত চূড়ান্ত তালিকায় নাম উঠানোর জন্য পলিসি পদ ও বছরের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন পয়েন্ট প্রয়োজন হয়। মোট মার্কস প্রতিযোগিতা ও আবেদনকারীর সংখ্যা অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়।

সাধারণ ধারণা (কনস্টেবল পদ উদাহরণ):
  • মোট মার্কস: ১০০
  • লিখিত পরীক্ষা: ৪০
  • ফিজিক্যাল টেস্ট: ২০
  • শারীরিক যোগ্যতা: ২০
  • মৌখিক পরীক্ষা (Viva): ২০
  • উত্তীর্ণ/চূড়ান্ত পয়েন্ট:
  • সাধারণত ৬০-৬৫ পয়েন্ট বা তার বেশি হলে নাম চূড়ান্ত তালিকায় আসে।
  • প্রতিযোগিতা বেশি হলে কখনও ৭০ বা ৭৫ পয়েন্টও প্রয়োজন হতে পারে।
এটি এক ধরনের নির্ধারিত পয়েন্টের আনুমানিক সংখ্যা, প্রকৃত পয়েন্ট প্রতি বছর বিজ্ঞপ্তি ও পরীক্ষার ফলাফলের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়।প্রার্থীর ফিটনেস, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পারফরম্যান্স অনুযায়ী চূড়ান্ত তালিকা তৈরি হয়।

শেষ কথাঃপুলিশ হতে কি যোগ্যতা লাগে

পুলিশ হতে কি যোগ্যতা লাগে এই বিষয় নিয়ে আজকে আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। পুলিশ হতে যে যোগ্যতা প্রয়োজন হয়তোবা এই আর্টিকেল থেকে আপনি বুঝতে পেরেছেন। এবং আপনি নিশ্চিত হয়েছেন, যে আসলেই আমি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে চাকরি করার যোগ্য কিনা। যদি আপনি চাকরি করার যোগ্য হন তাহলে অবশ্যই আপনি চাকরি পাওয়ার জন্য সর্বদা চেষ্টা করবেন। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার উপকৃত হলে তাহলে আর্টিকেলটি লিখে আমি ধন্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কিউফুল ওয়েবসাইটতের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url